Facebook Ad Management এর জন্য যে ৫টি টিপস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে চেষ্টা করবো অল্প কিছু কথা বলতে, হয়তো এগুলো আপনার জন্য হেল্পফুল হলেও হতে পারে (Who Knows)।
অনেক ক্ষেত্রেই পেইড এ্যাড অর্গানিক মার্কেটিংয়ের তুলনায় দ্রুত ফলাফল এনে দিতে পারে। তাই পেইড এ্যাডের জন্য আপনি নির্দিষ্ট অডিয়েন্সকে টার্গেট করে কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ যদি বলি, B2B কোম্পানিগুলি তাদের ওয়েবিনার বা এক্সক্লুসিভ ইভেন্টগুলো নির্দিষ্ট উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে কাস্টমাইজ কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে।
এদিকে, ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ৩ বিলিয়নেরও বেশি ইউজার রয়েছেন, তাই এটি AD এর জন্য নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। সুতরাং, ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে আপনার AD গুলো আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৫টি টিপস নিয়ে কথা বলছিঃ
১. ফ্রিকোয়েন্সি এবং রিলেভেন্স স্কোরে নজর দিন
ফেসবুকের অ্যালগরিদম AD গুলোর পজিটিভ এবং নেগেটিভ এনগেজমেন্টের ভিত্তিতে রিলেভেন্স স্কোর দেয়, যা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত একটি স্কেলে পরিমাপ করা হয়। এই স্কোর যত বেশি হবে, আপনার Cost Per Click (CPC) তত কম হবে।
অন্যদিকে, আপনার ফ্রিকোয়েন্সি স্কোর কম রাখতে হবে। এটি নির্ধারণ করে যে একজন ব্যক্তিকে একটি AD বা এ্যাডকতবার দেখানো হয়েছে। বারবার একই AD দেখানোর ফলে দর্শক বিরক্ত হতে পারেন, যা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে ব্যর্থ হতে পারে এবং আপনার ডলার নষ্ট হতে পারে।
২. আপনার অডিয়েন্সকে জানুন এবং লুকঅ্যালাইকস তৈরি করুন
আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের আগ্রহই আপনার AD এর মূল লক্ষ্য। তবে মনে রাখবেন, এ্যাড এরটার্গেট ক্রাইটেরিয়ার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার কন্টেন্ট। কারণ অতিরিক্ত ক্রাইটেরিয়া যোগ করলেই রেজাল্ট পাবেন এমন না, অন্যের কাজ নিজের ঘাড়ে না এনে FB AI কে তার কাজ করতে দিন, হাজারটা ক্রাইটেরিয়া যোগ করলে অডিয়েন্সের সাইজ কমে যেতে পারে এবং ফ্রিকোয়েন্সি স্কোর বেড়ে যেতে পারে। পরিবর্তে, মেট্রিকস মেজার করে তার উপর ভিত্তি করে লুকঅ্যালাইক অডিয়েন্স তৈরি করুন। এটি নতুন সম্ভাব্য অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে তাদের কনভার্ট করতে হেল্প করবে।
৩. অ্যাড প্লেসমেন্ট নির্বাচন করুন
ফেসবুক ডিফল্ট হিসেবে সমস্ত অ্যাড প্লেসমেন্ট চালু রাখে, যার মধ্যে ফেসবুকের বাইরের প্লেসমেন্টও অন্তর্ভুক্ত। তবে সব সময় এই অপশন ব্যবহার করা সেরা স্ট্র্যাটেজি নয়। মোবাইল এবং ডেস্কটপ এ্যাড এর উদ্দেশ্য আলাদা, তাই সেগুলো আলাদাভাবে পরিচালনা করা উচিত। তার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় টেস্ট ক্যাম্পেইন করে উইনার নির্বাচিন করে নিতে হবে।
যেমন:
- বড় রেজিস্ট্রেশন ফর্মে রিডাইরেক্ট করার ক্ষেত্রে ডেস্কটপ এ্যাড কার্যকর।
- অ্যাপ ডাউনলোডের জন্য মোবাইল এ্যাড বেশি সুবিধাজনক।
৪. রিটার্গেট ক্যাম্পেইন পরিচালনা করুন
ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজারের রিমার্কেটিং ফিচারের মাধ্যমে আপনি আপনার এ্যাড গুলো সেই ব্যক্তিদের দেখাতে পারবেন যারা ইতোমধ্যেই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানেন (যাদের বলা হয় ওয়ার্ম অডিয়েন্স)। পরিচিত ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, তাই রিটার্গেটিং ক্যাম্পেইনগুলো সাধারণত কম CPC এবং হাই কনভার্সন রেট প্রদান করতে সহয়তা করে। এক্ষেত্রেও কন্টেন্ট কাস্টমাইজ করতে পারলে দারুণ রেজাল্ট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৫. টেস্টিং করুন
প্রতিটি অডিয়েন্স কিভাবে এ্যাড কে গ্রহণ করে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ্যাড এর টেক্সট বা ইমেজ সামান্য পরিবর্তন করেও অনেক ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। সঠিক হেডলাইন বা কপির মাধ্যমে আপনি আপনার CPC হ্রাস করতে পারেন। তাই, এ্যাড পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হেডলাইন এবং টেক্সট পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Facebook Ads Management – নিয়ে অল্প কথায় যদি বলিঃ
ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার, ফেসবুকের বিশাল ইউজার বেসের কারণে, মার্কেটারদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর টুল। তবে পেইড এ্যাড থেকে ফলাফল পেতে হলে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এবং প্ল্যাটফর্ম ঠিক কিভাবে ভালো কাজ করে এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। শুরুতে কয়েকটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ শুরু করুন। প্রতিটি এ্যাড এর সাকসেস মেট্রিক্স মেজার করুন এবং সময়ের সাথে সেগুলো স্কেলিং করার চেষ্টা করুন (স্কেলিং নিয়ে অন্যদিন লিখবো)।
আপনার কাছে এই ৫টি টিপসের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে কার্যকর হবে বলে মনে হয়েছে কমেন্ট করে জানান?
Leave a Reply